অত্র ক্ষেতলাল উপজেলা থানা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ৭ ডিসেম্বর ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে এবং উপজেলা হিসাবে স্বিকৃতি লাভ করে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে।পুর্বে এটি বগুড়া জেলা অধীনে জয়পুরহাট মহকুমার একটি থানা ছিল।কিন্দ অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় হলো যে, এখানে শুধু একটি থানা ও একটি প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল ছিল। এমনকি টিটিডিসি অফিস ও কালাই এলাকায় যা ক্ষেতলাল হতে ৬ কিলোমিটার দুরে। যেহেতু অধিকাংশ স রকারী অফিমস কালাই এলাকায় অবস্থিত সেহেতু উপজেলা পদ্ধতি চালু করার সময় কালাই এলাকার জনগোষ্ঠির দাবী ছিল ক্ষেতলাল থানার নাম পরিবর্তন করে কালাই উপজেলার নামকরণ করা হোক। এর পর অনেক আলাপ অলোচনা ও বাকবিতন্ডার পর অবশেষে ক্ষেতলাল থানাকে দুইভাগে বিভক্ত করে ক্ষেতলাল উপজেলা ওঅপরটি কালাই উপজেলা ন নামকরণ করা হয় । কালাই ও ক্ষেতলাল প্রতিটি উপজেলায় ০৫টি করে ইউনিয়ন আছে।জয়পুরহাট সদর হতেপূর্ব দিকে ১৪ কিলোমটিার দুরে এ থানার অবস্থান।
এ উপজেলার নামকরণ নিয়ে ভিন্নভিন্ন মত প্রচলিত আছে। পূর্বে এ জনপদের ন াম ছিল কসবা।ধীরে ধীরে এটি কসবা ক্ষেতলালে রুপান্তির হয় । অবশেষে ক্ষেতলাল নামে পরিচিতি লাভ করে।ক্ষেতলাল নামকরন নিয়ে নিদির্ষ্ট কোন উৎস খুজে না পাওয়া গেলেও অত্র এলাকার সুথীজনদের মত অনুসারে দক্ষিন ভারতীয় একজন অধিবাসীর আগমনের পর ক্ষেতলাল নামকরণ হয় ।যিনি এখানে দক্ষিন ভারত থেকে এসে বাজার চড়া এলকায় বসতী স্থধাপন করেন। যেটি বর্তমানে এস,এ কলেজ ক্ষেতলাল এবং ডাকবাংলোর নিকটে অবস্থিত। তিনি দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন তার নাম অনুসারে এ এলাকার নামকরণ হয় ক্ষেতলাল ।সুধীজনদের অন্য একটি পক্ষ এর মতে ক্ষেতলাল দীর্ঘসময় ধরে ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল।ধান কর্তনের পূর্বে এ ধান ক্ষেতগুলো লাল আকার ধারণ করে। ধারনা করা হয় ক্ষেতলাল নামটি ক্ষেত এবং লাল এ দুটি শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে। ৩য় মতাদর্শীদের
মতে যতদূর জানা যায় এ উপজেলা সদরে বহু দেব-দেবীর পূজা অর্চনা হতো।
ক্ষেতলাল উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান উত্তর অক্ষাংশের ২৪°৫৬ থেকে ২৫°০৮ এবং ৮৯°০২ থেকে ৮৯°১২' দ্রাঘিমাংশের
মধ্যে। এ উপজেলার উত্তরে পাঁচবিবি উপজেলা, পূর্বে কালা্ই ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিন আক্কেলপুর উপজেলা ও বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলা ও পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর উপজেলা।
ক্ষেতলালের উল্লেখ যোগ্য নদী- তুলসিগঙ্গা ও হারাবতি নদী।
***
উপজেলার ঐতিহ্য
ঐতিহ্যবাহী ক্ষেতলাল উপজেলায় সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করে। শান্তিপূর্ণ
ভাবে এ অঞ্চলের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করে।
বাংলাদেশর মধ্যে উন্নত ও সুদর্শন কয়েকটা মসজিদের মধ্যে ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নে হিন্দা গ্রামে হিন্দা শাহী জামে মসজিদ একটি।এটি ১.০০ একর জমির উপর আল্লামা হযরত খাজা শাহ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল গফুর(রঃ) বাংলা ১৩৬৫ সালে স্থাপন করেন।মারবেল পাথর দ্বারা কারুকাজ খচিত পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট ও খিলান দ্বারা নির্মিত মসজিদটি বর্তমান সময়ের জন্যি একটি আশ্চর্য স্থাপনা।
আর একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘী আছে যার নাম আছরা্ঙা দিঘী। এদীঘিটি মামুদপুর ইউনিয়নের তুলশীগংঙ্গা নদীর পূর্ব পার্শ্বে অবস্স্থিত। দিঘীটির আয়তন প্রায় ২৬.০০ একর। জনশ্রুতি আছে সম্রাট গোপাল চন্দ্র রায় বাহাদুর দিঘীটি খনন করেন। বৌদ্ধ সম্রাটের শাসন আমলে এটি বৌদ্ধদের ধমীয় স্থান হিসাবে ব্যবহত। এখানে আছে মাজার, মন্দির সহ আরো অনেক পুরাতন ধর্মীয় নিদর্শন।
ক্ষেতলালের মানুষের প্রিয় খাবার হচ্ছে মাছ ভাত।
***
দর্শনিয় স্থান
বাংলাদেশর মধ্যে উন্নত ও সুদর্শন কয়েকটা মসজিদের মধ্যে ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নে হিন্দা গ্রামে হিন্দা শাহী জামে মসজিদএকটি।এটি ১.০০ একর জমির উপর আল্লামা হযরত খাজা শাহ মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল গফুর(রঃ) বাংলা ১৩৬৫ সালে স্থাপন করেন। মারবেল পাথর দ্বারা কারুকাজ খচিত পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট ও খিলান দ্বারা নির্মিত মসজিদটি বর্তমান সময়ের জন্যি একটি আশ্চর্য স্থাপনা। ক্ষেতলাল হতে প্রায় ৭ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত এই স্থাপনাটি। ক্ষেতলাল হতে ভ্যান,অটোরিক্সা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।
আর একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘী আছে যার নাম আছরাঙা দিঘী। এদীঘিটি মামুদপুর ইউনিয়নের তুলশীগংঙ্গা
নদীর পূর্ব পার্শ্বে অবস্স্থিত। দিঘীটির আয়তন প্রায় ২৬.০০ একর। জনশ্রুতি আছে সম্রাট গোপাল চন্দ্র রায় বাহাদুর দিঘীটি খনন করেন। বৌদ্ধ সম্রাটের শাসন আমলে এটি বৌদ্ধদের ধমীয় স্থান হিসাবে ব্যবহত। এখানে আছে মাজার, মন্দির সহ আরো অনেক পুরাতনধর্মীয়
নিদর্শন।
ইউনিয়ন সমূহ
১। তুলশীগঙ্গা (অবলুপ্ত ক্ষেতলাল সদর)
২। বড়তারা
৩। মামুদপুর
৪। বড়াইল
৫। আলমপুর
২। বড়তারা
৩। মামুদপুর
৪। বড়াইল
৫। আলমপুর
***
এক নজরে ক্ষেতলাল
পরিচিতি
|
||
জেলা
|
|
জয়পুরহাট
|
সীমানা
|
|
এ উপজেলার উত্তরে পাঁচবিবি উপজেলা, পূর্বে কালা্ই ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিন এ আক্কেলপুর উপজেলা ও বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলা ও পশ্চিমে জয়পুরহাট সদর উপজেলা
|
জেলা সদর হতে দূরত্ব
|
|
১৪ কি:মি:
|
আয়তন
|
|
১৪২.৬০ বর্গকিলোমিটার
|
জনসংখ্যা
|
|
১,১৫,৯১২৮ জন(প্রায়)
|
|
পুরুষ
|
৫৯,২২৭ জন(প্রায়)
|
|
মহিলা
|
৫৬,৬৪৪ জন(প্রায়)
|
লোক সংখ্যার ঘনত্ব
|
|
৮১৩ (প্রতিবর্গকিলোমিটারে)
|
মোট ভোটার সংখ্যা
|
|
৭০,৮৪৯ জন
|
|
পুরুষ ভোটা রসংখ্যা
|
৩৪,৬৫৮ জন
|
|
মহিলা ভোটার সংখ্যা
|
৩৬,৯১৯ জন
|
বাৎসরিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার
|
|
১.০৭ %
|
মোট পরিবার (খানা)
|
|
২৯,০১১ টি
|
নির্বাচনী এলাকা
|
|
জয়পুরহাট-২ (ক্ষেতলাল, কালাইওআক্কেলপুর)
|
গ্রাম
|
|
১৫৫টি
|
মৌজা
|
|
৮৬টি
|
ইউনিয়ন
|
|
0৫টি
|
পৌরসভা
|
|
০১টি
|
এতিমখানা সরকারী
|
|
নাই
|
এতিমখানা বে-সরকারী
|
|
০১টি
|
মসজিদ
|
|
২৮৪টি
|
মন্দির
|
|
৩১টি
|
নদ-নদী
|
|
২টি(তুলশগঙ্গা ও হারাবতী)
|
হাট-বাজার
|
|
১১টি
|
ব্যাংকশাখা
|
|
|
পোস্ট অফিস/সাব পোঃ অফিস
|
|
০৫টি
|
টেলিফোন এক্সচেঞ্জ
|
|
০১টি
|
ক্ষুদ্র কুটির শিল্প
|
|
০২টি
|
বৃহৎশিল্প
|
|
০০টি
|
তথ্য সংগ্রহকারী
লিমন দেশী বয়
০১৭২৪৬৭৭৭৮৯,
০১৫৫৩৫৯৪৪৭১
www.joypurhat20.blogspot.com